ইতালি থেকে তুহিন মাহামুদ: যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল মিলানে আয়োজনে পালিত হলো ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০১৮! ২৫ মার্চ রোবিবার বিকাল ৪টায় দূতাবাস অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কনসাল জেনারেল মিজ রেজিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং কনসাল শামচুল আহসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনসাল( শ্রম) রফিকুল ইসলাম।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অানুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতের বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর মারনাস্ত্রের আঘাতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং ২৫ শে মার্চের কালোরাতে নিহতদেরসহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এর পর গণহত্যা দিবসের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান কনসাল শামচুল আহসান ও কনসাল রফিকুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কবির জামান,সিনিয়র সদস্য আকরাম হোসেন, যুগ্নসম্পাদক জামিল আহমেদ,যুগ্নসম্পাদক তুহিন মাহামুদ,বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হাজী শাহআলম,জনতা এক্সচেঞ্চের মিলান এর ম্যানেজার মিজানুর রহমান সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় সমাপনি বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল মিজ্ রেজিনা আহমেদ। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নিহত, আহত সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান।তিনি বলেন -২৫ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। এদিন পাকিস্তানীরা অত্যান্ত অন্যায়ভাবে রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে নিরস্ত্র বাঙ্গালী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে।তিনি আরো বলেন,তাঁরা ভেবেছিল এর মাধ্যমে তারা বাঙ্গালীর স্বাধীনতা আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে পারবে।কিন্তু তাদের সে ভাবনাকে মিথ্যা প্রমান করে বাংলার আপামর জনতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ২৬ শে মার্চে প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করে। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের গণহত্যাার উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি “The 1971 Bangladesh Genocide “প্রদর্শন করা হয়।
কন্স্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত গণহত্যা দিবসের দিবসের এ অনুষ্ঠানে কন্স্যুলেটের সকল কর্মকর্তা -কর্মচারী, মিলান প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী সকলকে আপ্যায়ন করা হয়।